০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চীন-মার্কিন প্রযুক্তি সক্ষমতা লড়াই

চীন-মার্কিন প্রযুক্তি সক্ষমতা লড়াই -

মার্কিন সিনেট ১৯ হাজার কোটি ডলারের একটি বিল পাস করেছে, যা চীনের সাথে প্রযুক্তি সক্ষমতা নিয়ে লড়াইয়ে ব্যবহার করা হবে। ইউএস ইনোভেশন অ্যান্ড কম্পিটিশন অ্যাক্ট হিসেবে পরিচিত বিলটি ৬৮-৩২ ভোটে পাস হয়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে ওই বিলের ওপর ভোটাভুটি হয়েছে। সিনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ থাকলেও বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে উভয় দলের বেশির ভাগ আইনপ্রণেতাই; যা ভোটে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ১০০ সদস্যের সিনেটে বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে যেখানে ৬৮টি, সেখানে বিপক্ষে ছিল ৩২টি।

এই বিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও গবেষণা জোরদার করতে প্রায় ১৯ হাজার কোটি ডলার রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সেমিকন্ডাক্টর ও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম উৎপাদন ও গবেষণায় খরচ করতে অতিরিক্ত আরো পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। বিলটির সমর্থকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি বৃহত্তম শিল্প বিল হতে চলছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এটি সর্বোচ্চ মার্কিন বিনিয়োগ।
হোয়াইট হাউজে পাঠানোর আগে বিলটিকে এখন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে পাস হতে হবে। দুই কক্ষেই অনুমোদন পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এতে স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হবে। তবে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি কবে উঠবে এবং সেখানকার সদস্যরা এ বিলে কোনো পরিবর্তন আনবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এই বিলে চীনের প্রযুক্তি হুমকি মোকাবেলায় সরকারি ডিভাইসগুলোতে টিকটক অ্যাপ ডাউনলোড নিষিদ্ধ করা, চীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া কোম্পানিগুলোর বানানো ড্রোন না কেনাসহ বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা পরিচালিত হয়েছে বা মেধাস্বত্ব চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে।
এ ছাড়াও তাইওয়ানের কোনো কূটনীতিক বা সেনাসদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গেলে নিজেদের পতাকা প্রদর্শন ও ইউনিফর্ম পরতে পারাসহ বেশ কিছু বিষয় ওই বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চীনবিরোধী এ বিলের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা চাক শুমার চীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ না দিলে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেন, যদি আমরা কিছুই না করি তা হলে প্রভাবশালী পরাশক্তি হিসেবে আমাদের দিন শেষ হয়ে আসতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিলের প্রশংসা করে বলেন, আমরা একবিংশ শতাব্দী জয়ের প্রতিযোগিতায় রয়েছি, আমরা পিছিয়ে পড়ার ঝুঁঁকি নিতে পারি না। বিলটি য্ক্তুরাষ্ট্রে সাইবার হামলা কিংবা মার্কিন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে মেধাস্বত্ব চুরি করা চীনা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর বাধ্যতামূলক বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোম্পানিগুলোও বিলটিকে স্বাগত জানিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement